সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ - ১০:০৮
হিজবুল্লাহর মহাসচিব: “প্রতিরোধ আমাদের জীবনধারা, কোনো অস্থায়ী কৌশল নয়”

হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব গ্রহণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আল-মানার টেলিভিশনকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম সংগঠনের আদর্শ, নীতি, ত্যাগ এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ কেবল সামরিক বা রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়—এটি তাদের নৈতিক ও অস্তিত্বগত জীবনধারা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: শেখ নাঈম কাসেম বলেন, “হিজবুল্লাহ একটি কৌশলগত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রকল্প, যা জনগণের সমস্যা, প্রয়োজন ও চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

তিনি বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত কিংবা সামরিক—যে কোনো ধরনের আক্রমণ ও দখল মোকাবিলায় হিজবুল্লাহ স্পষ্ট অবস্থান নেয়। শেখ কাসেমের ভাষায়, “প্রতিরোধ আমাদের জন্য কোনো সাময়িক লক্ষ্য নয়, এটি আমাদের জীবনের অংশ এবং নৈতিক দায়িত্ব। ক্লান্তি বা ভয় আমাদের থামাতে পারে না—আমরা দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাই।”

মহাসচিব আরও বলেন, “হিজবুল্লাহর প্রতিটি সদস্য আত্মত্যাগে প্রস্তুত—ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা থেকে শুরু করে শহীদ পরিবার পর্যন্ত সবাই আমাদের সংগ্রামের অংশ। সংগঠনের নেতৃত্ব, পরামর্শক পরিষদ ও জনগণের ঐক্য আমাদের শক্তির উৎস।”

২০২৪ সালের যুদ্ধে নিজে ইরান সফর না করার প্রসঙ্গে শেখ কাসেম জানান, “তা ছিল একটি নৈতিক ও বাস্তব সিদ্ধান্ত—যুদ্ধ পরিচালনা ও ময়দানের পরিস্থিতি সরাসরি তত্ত্বাবধান করা তখন জরুরি ছিল।”

ইসরায়েলি শাসনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যুদ্ধে হিজবুল্লাহর সামরিক নেতৃত্বের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, “‘মাইটি ওয়ারিয়ার্স ব্যাটল’-এর সময় নেতৃত্ব ও সামরিক কমান্ডের মধ্যে পূর্ণ সমন্বয় বজায় ছিল। নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলা নির্ভুল গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, আর তেলআবিবে বোমা হামলাও ছিল একটি সচেতন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “প্রতিরোধের নেতৃত্ব পুরো যুদ্ধজুড়ে শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিল এবং যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই চালানো হতো। আমাদের আক্রমণ কেবল সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমিত ছিল—যা আমাদের রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ববোধের প্রতিফলন।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha